চকরিয়ায় দরিদ্র নারীর উপর প্রভাবশালীদের হামলা, মামলার প্রতিবেদনে ধীরগতি!



মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:

চকরিয়ায় মারধরের শিকার গৃহবধূ আদালতে মামলা করায় নিজেদের বাঁচাতে উল্টো মামলা করেছে আসামীরা। দরিদ্র এ নারীর দায়ের করা মামলায় পুলিশি প্রতিবেদনেও চলছে ধীরগতি। মামলার বাদী চকরিয়া উপজেলার মালুমঘাট নিকটবর্তী পশ্চিম হায়দারনাশী এলাকার কবির আহমদের স্ত্রী নুর জাহান (৩০)।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ইং তারিখে মালুমঘাট চাবাগান এলাকায় লাগিয়ত নেওয়া ধান্য জমিতে আগাছা পরিস্কার করছিল স্বামী কবির আহমদ। ওইদিন দুপুরে স্ত্রী নুর জাহান দুই বছরের শিশুকে কোলে নিয়ে স্বামীর জন্য ভাত নিয়ে যাচ্ছিল। এসময় তিনি দেখতে পান প্রভাবশালী একদল সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন পূর্ব শত্রুতার জেরধরে অস্ত্রসস্ত্রসহ তার স্বামীর উপর হামলা চালাচ্ছে।

স্বামীকে বাঁচাতে আর্তচিৎকার দিলে স্ত্রী নুর জাহানকে মেরে ফেলতে মাথায় দা দিয়ে মারাত্মক আঘাত করে হামলাকারীরা। এসময় হাত দিয়ে প্রতিহত করতে গিয়ে তার বাম হাতের আঙ্গুল কেটে গিয়ে হাঁড়কাটা জখম হয়। নুর জাহানের মৃত্যু নিশ্চিত করার অপচেষ্টায় লোহার রড দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে গুরুতর আঘাত করে। পরে পথদিয়ে চলাচলের লোকজন তাদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় গত ২ অক্টোবর হামলার শিকার নুর জাহান বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল সিনিয়র ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা (সিআর- ১০৬৫) দায়ের করন। এতে আসামী করা হয়েছে অজ্ঞাতসহ ডুলাহাজারা ইউনিয়নের চাবাগান এলাকার মৃত আবদুল করিমের পুত্র নুর কবির ও সোনা মিয়া, লামা ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের গুলিস্তান বাজার এলাকার মৃত ছগির আহমেদের পুত্র জিয়াবুল হককে।

এ মামলায় চকরিয়া থানাকে তদন্তের দায়িত্ব দেয় মহামান্য আদালত। বাদীর স্বজনদের অভিযোগ, দীর্ঘ ১০/১৫ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও কোনপ্রকার তদন্ত করছেন না পুলিশ। অপরদিকে আসামীরা অর্থশালী হওয়ায় লামা জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে উল্টো একটি সাজানো হয়রানি মামলা দায়ের করেছে। বর্তমানে হামলাকারীদের হুমকিধামকিতে আহত নুর জাহান চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিনপাত করছে। তার দায়ের করা মামলার তদন্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক মফিজুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।